Freelancing লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Freelancing লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সেরা বাংলা টিউটোরিয়াল!

By

ফ্রিল্যান্সিং হটকেক লার্নিং! ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও এসইও উপর ফ্রিল্যান্সিং উপযোগী সেরা বাংলা টিউটোরিয়াল!

 

অনলাইনে আয়ে আগ্রহীদের জন্য এসইও শেখার কোন বিকল্প নেই, কারন আপনি অনলাইনের যে সেক্টরেই কাজ করেন , এসইও এর উপর একটু আধটু জ্ঞান আপনাকে অবশ্যই রাখতে হবে আর যদি সেটা হয় আপনি এসইও এর কাজই করতে চান তাহলে তো কথাই নেই। এসইও এর কাজ অবশ্যই ভালভাবে শিখতে হবে আপনাকে। আর শুধুমাত্র এসইও জানলেই আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন এর সাথে অনলাইনে অন্যান্য খাতেও অনেক হেল্প করবে এই এসইও। কারন গুগল ছাড়া যেমন অনলাইন অচল তেমনি এসইও ছাড়া আপনি অনলাইনের অনেক এক বিশার দুনিয়া থেকে পেছনে পড়ে থাকবেন। কাজেই অনলাইনে আয় এবং অনলাইনে আপনার জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এসইও শিখে রাখতে পারেন।
আর এই এসইও শেখার জন্য আমাদের ভিডিও বাংলা টিউটোরিয়াল নিতে পারেন। কারন আমরাই একমাত্র গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখলে আপনি কমপ্লিট এসইও শিখতে পারবেন এবং এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখলে এবং ভালভাবে প্র্যাকটিস করলে আপনাকে বাইরে থেকে কোন কোর্স করতে হবে না। কারন এমনটি আমরা বলি নি, যারা টিউটোরিয়াল নিয়েছেন তাদের কাছ থেকেই জানতে পারবেন। এই জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপে গেলেই পেয়ে যাবেন এমন অনেককে যারা আমাদের টিউটোরিয়াল নিয়ে কাজ শিখেছেন এবং কাজ করে আয় করছেন এবং এরা সবাই টিউটোরিয়াল দেখে সন্তুষ্ট ।
যোগাযোগ ০১১৯১৫২২৩৫৮

 

অথরিটি বিল্ডিং : গুগলের সর্বশেষ আপডেটের (হামিংবার্ড আপডেট) পর এসইও করার পদ্ধতি

By
গুগলের সর্বশেষ আপডেটের পর তথাকথিত লিংকবিল্ডিংয়ের যুগের সমাপ্তি ঘটল। যারা কিছু না বুঝেই শুধুমাত্র ব্যাকলিংক কিংবা লিংকবিল্ডিং করেই এতদিন এসইও করে আসছেন, তাদের এখনই স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করতে হবে এবং প্র্যাকটিস শুরু করতে হবে অথরিটি বিল্ডিংয়ের। কারন নতুন আপডেটে এটিকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতের আপডেটগুলো এটির উপর ভিত্তি করেই হবে, সেই ইংগিত পাওয়া গেছে।
নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমাণ করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের লিংক বিল্ডিং করাকেই অথোরিটি বিল্ডিং বলে। এই অথোরিটি বিল্ডিং চিরাচরিত লিংকবিল্ডিংয়ের চাইতে কয়েকটি কারনে অনেক বেশি কাযকর। অথোরিটি বিল্ডিংয়ে এক ঢিলে কয়েকটি পাখি মারা সম্ভব হয় অর্থাৎ এভাবে এসইও করলে এসইওর পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিং, ব্রান্ডিং, পাবলিক রিলেশন একই সাথে তৈরি হয় যা আপনার ব্যবসার প্রসার আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় এবং যার ফলাফল অনেক বেশি দীর্ঘাস্থায়ী হবে। সেই সাথে ওয়েবসাইটে ভিজিটর এবং সার্চ পজিশনও অনেক আপডেট হবে।
আমার আজকের লিখাতে অথোরিটি বিল্ডিংয়ের কাযকরী কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
 ১।  ব্লগিং: সবসময় মানসম্পন্ন আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখবেন। অনেকেই বলে থাকেন ''মানসম্পন্ন কন্টেন্টই হলো এসইওর প্রধান সম্পদ''। এটি কোন ভুল কথা না। মানসম্পন্ন কনটেন্ট আপনার এসইওর ৮০% কাজ সম্পন্ন করে দেয়। যদি আপনারটি কোন ব্লগ সাইট কিংবা যেসব সাইটে নিয়মিত আপডেট করার প্রয়োজন হয়, এ ধরনের কোন সাইট না হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে কি করবেন? এ ধরনের ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করলে খুব ‍ভাল ফলাফল পাবেন। আপনি যদি বড় বড় ওয়েবসাইট যেমনঃ 99designs.com, hostgator.com এ প্রবেশ করেন তাহলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সাথে একটি ব্লগ দেখতে পারবেন, যেখানে নিয়মিত পোস্ট করা হয়। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্লগিং শুধুমাত্র সাইটের লিংক কিংবা ভিজিটরদের আকর্ষন করার জন্য করা হয়না। আপনার লেখার মানের কারনে কোম্পানীর ব্রান্ডিংয়ের সাথে ফ্রি হিসেবে  নিজেরও ব্রান্ডিং হয়ে যাবে। যেই বিষয়ে উপর লিখসেন, সেই ফিল্ডে এক্সপার্ট হিসেবে মানুষের মাঝে নিজের পরিচয় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং সবচাইতে কাযকরী একটি মাধ্যম। সেই কারনে মানুষ আপনার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। নিজের ব্লগে পোস্ট দেয়ার সাথে সাথে সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে গেস্টব্লগ সাইটগুলোতেও পোস্ট করতে হবে। সেই সব সাইটগুলোর নিজস্ব ভিজিটরকে নিজের ওয়েবসাইটে তাহলে খুব সহজে নিয়ে আসতে পারবেন।
২। সোশ্যাল মিডিয়াঃ
সামাজিক যোগাযোগ এর সাইট গুলোকে ভালভাবে কাজে লাগান, সেখানে আপনার শক্তিশালী ভুমিকা রাখুন অর্থাৎ মানুষ যাতে আপনাকে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি ভাবতে পারে, সেইভাবে নিজের উপস্থিতিকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। আর ইতিমধ্যে যদি ১নং ধাপ অর্থাৎ ব্লগিং শুরু করে থাকেন, তাহলেতো অবশ্যই টুইটারে প্রতিটি পোস্টকে টুইট শুরু করতেই হবে। নিজের ব্লগের পোস্টকে আরও বেশি মানুষকে পড়ানোর জন্য অর্থাৎ যারা আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের ভিজিটর না, তাদের মাঝে নিজের পোস্টকে প্রচার করার জন্য টুইটারসহ অন্যান্য বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ব্লগের পাঠক কয়েকগুন বেড়ে যাবে। যেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট অবশ্যই ব্যবহার করবেন, সেগুলো হলোঃ facebook.com, plus.google.com, twitter.com, pinterest.com, linkedin.com । এইসব সোশ্যাল সাইটগুলোতে নিজেকে  বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমান করার জন্য ভুমিকা রাখুন।
৩। প্রেস রিলিজ প্রকাশঃ মিডিয়াতে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক প্রকাশ করতে পারলে যেইপরিমানে আস্থা এবং পরিচিতি তৈরি করা যায়, আর অন্য মাধ্যমে এত সফলভাবে সেটি করা সম্ভবনা। হতে পারে আপনার লোকাল কোন পত্রিকা কিংবা কোন ব্লগে যেখানে নির্দিষ্ট পাঠক আছে, সেসব জায়গাতে পোস্ট করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের ভ্যালু অনেক বেড়ে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে এই নিউজ প্রকাশের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। অনলাইনে http://www.helpareporter.com এ ওয়েবসাইটের মত আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সার্ভিসকে অনলাইন ভিত্তিক প্রেসে দিতে পারবেন। যদি কিছু সংবাদ পাবলিশ করতে পারেন, তাহলে সেগুলো নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রেস নামে একটি লিংক করে সেখানে সকল লিংকগুলোকে যুক্ত করলে বেশি উপকৃত হবেন।
নতুন আপডেট নিয়ে যারা বিশাল সমস্যাতে আছেন, তারা আমার ফেসবুক গ্রুপে এসে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যতটুকু সম্ভব, সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব।

এসইও সম্পর্কে কিছু কথা

By
বাংলাদেশ থেকে যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত তাঁদের মধ্যে ওডেস্কে ৪০% এর উপরে এবং ইল্যান্স মার্কেটেপ্লেসে প্রায় ১০% লোক এসইও’র কাজ করে। কিন্তু এদের মধ্যে বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারই খুব বেশি দক্ষ না হওয়ায় একেবারে সস্তায় (অল্প রেটে) কাজ করে। মূলত তাঁরা লিংক বিল্ডিং এবং অনপেজের টুকটাক কাজ গুলোই অধিকাংশ সময় করে থাকে।
এসইও একটি পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া যা প্রায় প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে, আসছে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর নতুন নতুন আপডেট।
অনেক ফ্রিল্যান্স অপ্টিমাইজারকেই দেখছি যারা সার্চ ইঞ্জিন গুলোর সাম্প্রতিক সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদেরকে আপডেট করতে পারছেনা বা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে করছে না। এর অন্যতম কিছু কারণ গুলো হচ্ছে অল্পতেই তুষ্ট থাকা, ইংরেজি ভীতি, নিজের ব্লগ/সাইট না চালানো, নিয়মিত এসইও ব্লগ গুলো না পড়া ইত্যাদি।
সুতরাং সমাধান কি হতে পারে?
আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রথমেই মন মানুষিকতা পরিবর্তন করুন, ভাবুন নিজেকে আরও দক্ষ কিভাবে করা যায় এবং নিজের ঘণ্টা রেট কিভাবে বাঁড়াতে পারবেন।
ইংরেজি ভীতি দূর করার জন্য আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন ইংরেজি নিউজ থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্লগ/সাইট গুলো পড়তে হবে এতে করে আপনার রিলেটেড জ্ঞানের সাথে সাথে ভার্টিকাল জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে।
আরও একটা যায়গায় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা গুরুত্বই দেননা সেটা হচ্ছে নিজে ওয়েব সাইট/ব্লগ চালানোর ব্যাপারে। আমি এমন অনেকের মূখ থেকে শুনেছি, “এসইও করতে নিজের ওয়েব সাইট থাকতে হয় নাকি! নিজের ওয়েব সাইট লাগে না লাগে।“ কি বলেন আপনারা সত্যি ই কি তাই? অবাক হই এমন উত্তর শুনে।
একটা কথা মনে রাখবেন যারা নিজের ওয়েব সাইট চালায় তারাই এসইও’র ব্যপারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ টু জেড ধারণা রাখে। সাইটের কিওয়ার্ড পছন্দ করা থেকে শুরু করে, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্লান রেডী, অনসাইট-অনপেজজ এবং অথোরিটি বিল্ডিং এবং ঐ কিওয়ার্ডে র্যাং ক করানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকবে তাঁর। সুতরাং যারা এখনো নিজের সাইট নিয়ে ভাবছেন না, শুরু করে দিন। সাইট থেকে আয় করা বাদেও এটাকে পোর্টফলিও হিসাবে দেখিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক কাজ নিতে পারবেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার নিজস্ব ফিল্ডে নিয়মিত আপ টু ডেট থাকা। অবশ্যই এসইও’তে ভালো করতে হলে আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন এসইও ব্লগ এবং ফোরাম গুলোতে ভিজিট করতে হবে। সেখানে আপনারা এসইও'র সম্পর্কে পড়াশুনার পাশাপাশি নিত্য নতুন আপডেট এবং ট্রেন্ডস সম্পর্কে জানতে পারবেন যা আপনাকে যে কোন কঠিন মূহুর্তেও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগুতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত-২

By
ফ্রিল্যান্সিং করে এদেশের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এ ক্ষেত্রটির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইল এর প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্ব পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলবর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। মার্কেটপ্লেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা যায়। প্রোফাইলে তৈরির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে
১. হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
২. স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রচুর স্কিল টেস্ট বিনা খরচেই দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হন না কেন কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে।
৩. পোর্টফোলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফোলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবেন যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আকর্ষণহীন একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।
কোন ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন?
কোনো একটা জব ওপেন করে জবের ডান পাশে দেখবেন বায়ারের তথ্য দেওয়া আছে। যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড নট ভেরিফাইড লেখা সেসব বায়ারের কাজের জন্য আবেদন করবেন না। পেমেন্ট মেথড ভেরিভাইড থাকলে তবে আবেদন করবেন।
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলক্লায়েন্টের কাছে কাজের জন্য আবেদন করাযখন কোনো কাজে/জবে আবেদন করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনোই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরূহ তো হবেই বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন। যেটা করা উচিত সেটা হলো প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি দিয়ে শুরু না করাই ভালো।
তারপর এক লাইনে আপনি তার কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন। তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন দক্ষতা তার প্রজেক্টে কাজে আসবে এবং কেন।র ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কী কী ধাপে করবেন।
আপনি কোন ফাইল এটাচ (যুক্ত) করে থাকলে উল্লেখ করুন। সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন।
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না। একটা হলো লেটারে নিজের ই-মেইল অথবা যোগাযোগের কোনো আইডি উল্লেখ করবেন না এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পেশাদার নাও ভাবতে পারে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক চাইবেন।
সাক্ষাত্কার
চাকরির বিজ্ঞাপন পড়ে আমরা কী করি? আমরা সেই বিজ্ঞাপন পড়ে ভালো লাগলে সেই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠাই।  আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো জব পোস্ট করা হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে বায়ার কয়েকজনকে সাক্ষাত্কারের জন্য বলেন।  তারপর একজন বা দুইজনকে নিয়োগ (হায়ার) দেয় মানে কাজটি করতে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে বিডিং বা বিড করে কাজ পাওয়া।  বায়ার আপনার কভার লেটার এবং প্রোফাইল দেখে পছন্দ করলে আপনাকে মেসেজ দিয়ে ইন্টারভিউ নেবে। আপনিও মেসেজ দিয়ে উত্তর দেবেন। আপনাকে ওই আউটসোর্সিং সাইটেই মেসেজ দেবে যে আপনি আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ওই সাইটেই মেসেজ দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপের মাধ্যমে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার কাজটি করতে দেবে মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার (Hire) করবে। জবটি অ্যাকটিভ হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract Job Name started. তারপর কাজ শুরু করবেন। 
একটি কাজের বর্ণনাকীভাবে কাজ করবেন?
আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে দুই ধরনের জব আছে। জব আছে দুই ধরনের। আওয়ারলি এবং ফিক্সড প্রাইস। আওয়ারলি জবগুলো আপনার ইচ্ছেমতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো দেখে আপনাকে পেমেন্ট দেবেন। আর আওয়ারলি জবের ক্ষেত্রে টাইম ট্র্যাকার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেবেন । এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পর ওপেন করে সাইন-ইন করে যে জবটি করতে চান সেটি নির্বাচন করে Start বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। ঘণ্টায় ৬টির মত। সময় গণনার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার ওই স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে Buyer Name ended your contract Job Name. তখন বায়ার আপনাকে একটি ফিডব্যাক দেবেন এবং আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। সর্বোচ্চ ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে মার্ক দেবেন এবং বায়ার আপনাকে তা দেবেন। কেউ কারোরটা আগে দেখতে পাবেন না। দুই জনে (কনট্রাক্টর এবং বায়ার) ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অন্য জনেরটা দেখতে পাবেন। কেউ একজন ফিডব্যাক না দিলে বা উভয়েই না দিলে ১৪ দিন পর একজন অন্যজনের ফিডব্যাক দেখতে পাবেন। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে আর ফিডব্যাক দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আপনি বায়ারের সাথে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে বায়ারের সম্পর্ক কেমন এবং বায়ার আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন।  ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পেতে সমস্যা হয়। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওই বাজে ফিডব্যাক মুছে ফেলতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেনডিং (Pending)-এ থেকে তারপর আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অর্থ তোলার পদ্ধতি
অনেক কাজ করেছেন। আপনার অ্যাকাউন্টে অনেক ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনবেন কীভাবে? অর্থ উত্তোলনের অনেকগুলো পেমেন্ট মেথড বা উপায় আছে। আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer)।
অয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি
অয়্যার ট্রান্সফার হলো অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা। এর জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড পদ্ধতি
অর্থ উত্তোলন করার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো Payoneer Debit Card। তবে এটি একটু ব্যয়বহুল।

সুত্র প্রথম আলো

ঘরে বসে আয়

By
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করে আয় করা যায়। অনেকে এভাবে কাজ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। তবে কাজে দক্ষতা না থাকলে এ স্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। নতুন অনেকেরই এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করা যায়। পাঠকদের জন্য ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই এ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত সিরিজটির আজ শেষ পর্ব।
প্রথম পর্ব: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত (পর্ব-১)
দ্বিতীয় পর্ব: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত (পর্ব-২)
সহজে কাজ পেতে১. কেউ কেউ আছেন, যারা ৪-৫টা জবে আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন ১০০টা জবের জন্য আবেদন করেও তা পান না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, আপনার অভিজ্ঞতা ও আপনার কাজের পারিশ্রমিক চাওয়ার ওপর। আপনি যদি কাজে দক্ষ হন এবং যদি কাজের মাধ্যমে বায়ারকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তবে আপনি সফল হবেনই। আপনার ইংরেজির দক্ষতা এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ফল দিতে পারে। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি যদি আরও কয়েকটি ভাষা শিখে ফেলতে পারেন তবে তা আপনার কাজের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। অনলাইন বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করেই এখন আপনি ভাষা শেখার চেষ্টা করতে পারেন। যাঁদের ইংরেজি দুর্বল তারা চর্চা বাড়াতে পারেন।
২. যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে হায়ার করতে হলে বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকতে হয়।
৩. কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত হতে হবে। আপনি অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে ব্লগ লিখতে পারেন। নিজের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এক সময় আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে না; বরং বায়াররাই আপনাকে খুঁজে ফিরবে।
৪. কাজ পাবার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বেশি সময় অনলাইনে থাকতে হবে। বায়ারের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ভালো হতে হবে। আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তবে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের কাজের দাম নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
৫.যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেই শর্ত যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো। যেমন, Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour অর্থাত্ যাঁদের ফিডব্যাক স্কোর কমপক্ষে ৪.০০ এবং যাঁরা অন্তত ১০০ ঘণ্টা কাজ করেছেন, তারা এই জবে আবেদন করতে পারবেন।
৬.যাঁরা ওডেস্কে ২-৩টা জব (কাজ) করেছেন, এখন বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেট দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে বেশি ডলার রেটে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলার রেটে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি ডলার রেটে আবেদন না করাই ভালো।
গুগল, গুগল এবং গুগল
গুগলকে নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। যেকোনো সফল ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করলেই দেখবেন, প্রত্যেকেই বলবে তারা অনেক কিছু গুগল সার্চ করে জেনেছে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। যদি কোথাও আটকে যান, তখন গুগল সার্চ করুন। অনলাইনে আপনার সহায়ক অনেক উপকরণ পাবেন।  প্রোফাইল তৈরি থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সব কিছুই এখন অনলাইনে পাবেন।
সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে সক্রিয় থাকুন। লিংকডইনে তৈরি করুন পেশাদার প্রোফাইল। আপনি ইউটিউব থেকেও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। অবশ্য একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরুর আগে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা ও উন্নত কনফিগারেশনের কম্পিউটারও প্রয়োজন পড়বে।
নিজেকে সময় দিন
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই দিন-রাত কিছুই মানেন না । ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পান না। এজন্য অনেকেই একা হয়ে পড়েন এবং অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করলেও নিজেকে কিছুটা সময় দিন। বই পড়ুন, বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। ঠিক সময়ে ঘুমান। প্রচুর পানি পান করুন। নিজের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যান। শুধু অর্থ আয়ের পেছনে ছোটার চেয়ে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিন আগে। ফ্রিল্যান্সিং করে যাঁরা সফল হয়েছেন তাঁদের পরামর্শ হচ্ছে কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসবেন না।

সুত্র প্রথম আলো