News লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
News লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

দাম বাড়তে পারে স্মার্টফোনের!

By

হঠাত্ করেই দাম বেড়ে যেতে পারে স্মার্টফোনের। অ্যাপলের নতুন আইফোনের ধাক্কায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ওয়াল স্ট্রিটের বাজার বিশ্লেষকেরা। তাঁরা ধারণা করছেন, আইফোন ৬ এর অর্ডারের প্রভাব পড়বে অন্যান্য স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে।
চীনের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এবারে সাত থেকে আট কোটি ইউনিট আইফোন তৈরি জন্য অর্ডার দিয়েছে অ্যাপল। চীনা মিডিয়াগুলো ধারণা করছে, এবার অন্যান্য স্মার্টফোনের দাম পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। কারণ, স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আইফোন তৈরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি ও সরবরাহ কমে যাবে।
আইফোনের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ফক্সকন যদি আইফোনের কাজ শুরু করে দেয় তবে অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরি কমে যাবে। ফক্সকন থেকে ব্ল্যাকবেরি, নকিয়া, সনি, মটোরোলাসহ অন্যান্য মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের ফোন তৈরি করিয়ে নেয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যদি চাহিদার তুলনায় কারখানা থেকে সরবরাহ কম পেতে শুরু করে তবে স্বভাবতই বিক্রেতারা স্মার্টফোনের দাম বাড়িয়ে দেবেন। এ ছাড়াও স্মার্টফোন সংযোজন করার কারখানাগুলো এসময় আইফোন তৈরি বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ করার জন্য বাড়তি খরচ দাবি করবে। এতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের খরচ বাড়বে যা শেষ পর্যন্ত গ্রাহকের ঘাড়েই চলে যাবে।  এদিকে, অ্যাপল ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক খবরে জানিয়েছে, এ বছর বড় মাপের স্ক্রিনযুক্ত দুটি মডেলের আইফোন তৈরিতে কাজ করছে অ্যাপল। এ বছর ৪.৭ ও ৫.৫ ইঞ্চি মাপের এই দুটি স্মার্টফোন তৈরির জন্য আইফোন৫এস ও ৫সির তুলনায় বেশি অর্ডার দিয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর নাগাদ এই দুটি ফোন বাজারে আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের আইফোন আরও বেশি হালকা-পাতলা হতে পারে। সেই সঙ্গে এতে যুক্ত হতে পারে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাসহ স্মার্ট বেশ কিছু নতুন ফিচার

দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২ কোটি

By

দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২ কোটি
ফাইল ছবি
জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার।গত এক বছরে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ৭৫ লাখ ২১ হাজার এবং ইন্টারনেট গ্রাহক প্রায় ৩১ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া গত নভেম্বরে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৪৯ হাজার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার।
সমকাল প্রতিবেদক

তোশিবার নতুন আট ল্যাপটপ

By




Add caption
বাজারে এল জাপানের তোশিবা ব্র্যান্ডের আটটি নতুন মডেলের ল্যাপটপ। ২৮ হাজার ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে কেনা যাবে ল্যাপটপগুলো। তোশিবার নতুন মডেলের ল্যাপটপগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিপণন করছে স্মার্ট টেকনোলজিস।

নতুন ল্যাপটপের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বিক্রয় ব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ, ল্যাপটপ ও পিসি বিভাগের প্রধান মুজাহিদ আল বেরুনি সুজন এবং তোশিবা পণ্য ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম।

মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘জাপানি ব্র্যান্ড হিসেবে তোশিবা ইতিমধ্যে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। তোশিবার করপোরেট মুলমন্ত্র হচ্ছে ‘লিডিং ইনোভেশন’। বিশ্বে প্রথম কর্মাশিয়াল ল্যাপটপ এসেছিল তোশিবার কাছ থেকে। বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে তোশিবার পণ্য বিপণন করছে স্মার্ট টেকনোলজিস। তোশিবার পণ্যের গ্রাহক সেবার নিশ্চয়তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।’

তোশিবা পণ্য ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘সব ধরনের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে নতুন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে আনা হচ্ছে। নতুন ল্যাপটপগুলো মডেল থেকে ২৮ হাজার ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। সবচেয়ে কম দামের ল্যাপটপটির মডেল হচ্ছে স্যাটেলাইট সি৫০। ইনটেলের চতুর্থ প্রজন্মের সেলেরন ডুয়ালকোর প্রসেসরের ল্যাপটপটিতে রয়েছে ২জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক, ১৫.৫ ইঞ্চি এলইডি ডিসপ্লে, ৫ ঘণ্টা পাওয়ার ব্যাকআপ, ডিভিডি রাইটার ও ইনটেলের গ্রাফিকস কার্ড।

অন্যদিকে তুলনামূলক বেশি দামের ল্যাপটপগুলোর মধ্যে রয়েছে টেকরা ও পোর্টিজি সিরিজের বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ।

বাজার আসা নতুন ল্যাপটপগুলোর মডেল হচ্ছে এনভি১০টি, সি৫০, এল৪০, এল৫০, পি৫০, টেকরা জেড৪০, পোর্টিজি আর৩০ ও জেড৩০। এর মধ্যে পি৫০ হচ্ছে গেমিং ল্যাপটপ। প্রতিটি মডেলের সঙ্গে বিক্রয়ত্তোর সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সুত্র প্রথম আলো

১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে মাইক্রোসফট

By
মাইক্রোসফটের ৩৯ বছরের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের ঘটনা
অনলাইন ডেস্ক
অবশেষে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে মাইক্রোসফট
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর বিবিসির।
মাইক্রোসফটের ৩৯ বছরের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের ঘটনা।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটকে আরও লাভজনক করে তুলতে ৬০ কোটি ডলার মাসিক খরচ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির বিপুলসংখ্যক কর্মীর চাকরি হারানোর জল্পনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্য হলো, বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৮ হাজার কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন।
আগামী বছরের মধ্যেই ব্যয় সঙ্কোচনের লক্ষ্যে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে নাদেলা বলেছেন,  'এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হলেও প্রয়োজনীয়।'
ছাঁটাই তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাজ্যে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী। আর গত এপ্রিলে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া কিনে নিয়েছিল মাইক্রোসফট। ছাঁটাইয়ের বড় অংশটি মূলত নকিয়া থেকেই হবে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, নকিয়া থেকে চাকরি হারাবেন সাড়ে ১২ হাজার কর্মী।
তবে হঠাৎ করে যে তাদের বরখাস্ত করা হবে তা নয়। ছাঁটাইয়ের আগে সবাইকে ৬ মাসের নোটিস দেওয়া হবে। এমন বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ১৮ হাজার কর্মীর ছাঁটাই প্রক্রিয়া আগামী বছরের জুলাই নাগাদ শেষ হবে।

স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মাইক্রোসফটের মামলা

By
মাইক্রোসফটের পেটেন্ট করা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিনিময়ে স্যামসাং অর্থ প্রদান করছে না- এমন অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মাইক্রোসফটের মামলা
গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে মামলাটি দায়ের করে মাইক্রোসফট করপোরেশন। স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মাইক্রোসফটের এমন মামলা এবারই প্রথম। খবর এনডিটিভি।
মাইক্রোসফটের দাবি অনুযায়ী, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়‑ এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহারে রয়্যালটির অর্থ পরিশোধে চুক্তি ভঙ্গ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিটি।
মাইক্রোসফটের পেটেন্ট করা প্রযুক্তিটি ব্যবহারের বিনিময়ে স্যামসাং অর্থ প্রদান করছে না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট।
গত বছর মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী অপর প্রতিষ্ঠান নকিয়াকে কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় মাইক্রোসফট। এর পর থেকেই স্যামসাং মাইক্রোসফটের সঙ্গে করা চুক্তিটি মেনে চলা বন্ধ করে দেয়।
এমনকি চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্যামসাং নকিয়ার সঙ্গে মাইক্রোসফটের করা চুক্তিটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছে মাইক্রোসফট।
তবে মামলার কারণে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক অংশীদার স্যামসাংয়ের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কে ছেদ পড়বে না বলেও মনে করছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি কাউন্সেল ডেভিড হাওয়ার্ড বলেন, 'মামলার উদ্দেশ্য শুধু চুক্তি অনুযায়ী রয়্যালটির টাকা পাওয়া। আমরা শুধু কোর্টকে আমাদের মতবিরোধ মিটিয়ে দিতে বলেছি। মাইক্রোসফট স্যামসাংয়ের সঙ্গে অংশীদারীত্বকে সম্মান করে। আমরা আশা করি, এ অংশীদারিত্ব সামনের দিনগুলোতেও বহাল থাকবে।'
প্রতিক্রিয়ায় স্যামসাং জানায়, অভিযোগটি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে তারা।
২০১১ সালে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্যামসাং। এর পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে চারগুণ।

জিমেইল ইয়াহুতে ফোন নম্বর বাধ্যতামূলক

By
ভারতে ইয়াহুর এক মুখপাত্র বলেন, গ্রাহকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সংকল্পবদ্ধ
অনলাইন ডেস্ক
নতুন ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে টেলিফোন নাম্বার দেয়া বাধ্যতামূলক করছে জিমেইল ও ইয়াহু। এক্ষেত্রে জিমেইল মোবাইল ও টেলিফোন নম্বার উভয়ই গ্রহণ করলেও ইয়াহু শুধু মোবাইল নম্বার গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। খবর পিটিআই।জিমেইল ইয়াহুতে ফোন নম্বর বাধ্যতামূলক
অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল (স্পাম) প্রেরকদের খুঁজে বের করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ইমেইলে নতুন আইডি খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের দেওয়া নম্বরগুলো তাদের আইডি'র প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করবে জিমেইল ও ইয়াহু।
টেলিফোন নম্বার দেয়ার বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি একই নম্বার ব্যবহার করে একাধিক মেইল আইডি খোলার ব্যাপারেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে জিমেইল। তবে একটি নম্বার থেকে ঠিক কতটি আইডি খোলা যাবে তা পরিষ্কার করেনি তারা।
ভারতে ইয়াহুর এক মুখপাত্র বলেন, 'গ্রাহকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সংকল্পবদ্ধ। অ্যাকাউন্ট প্রমাণের উপায় হিসেবে আমরা ব্যবহারকারীদেরকে তাদের মোবাইল নম্বার দিতে বলছি।'
নম্বরগুলো কেবল অস্বাভাবিক মেইল লেনদেনের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে বলেও জানান এ তিনি।
তবে এ পদক্ষেপকে গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর 'হামলা' বলে এর সমালোচনা করেছে ভারতের ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সূত্র: এনডিটিভি

টুইটার এখন বাংলায়

By

খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় সাইট টুইটার এখন বাংলা ভাষায় দেখা যাবে। টুইটারের মূল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল ওয়েবসাইট
(mobile.twitter.com), অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ) বাংলা সমর্থনের সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে সম্পূর্ণ বাংলায় বার্তা (টুইট) লেখা ও পড়া যাবে। বাংলা ছাড়াও সম্প্রতি ভিয়েতনামিস, চেক, রোমানিয়ান ও ইউক্রেনিয়ান ভাষা যুক্ত হয়েছে টুইটারে। বিভিন্ন ভাষাভাষীর স্বেচ্ছাসেবকদের অনুবাদ করা এসব ভাষা এর আগে শুধু অনুবাদকাজের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে এসব ভাষার সুবিধা সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বাংলা কিংবা অন্যান্য ভাষা নির্বাচন করতে টুইটারের সেটিংস থেকে ভাষা অপশনে গিয়ে পছন্দের ভাষা বেছে নিতে হবে।
চাইলে যে কেউ টুইটারের এ ভাষা অনুবাদেও যুক্ত হতে পারেন। এতে নির্দিষ্ট শব্দ কিংবা লাইনের সঠিক অর্থ লিখে জমা দেওয়া যাবে। সেখান থেকে নির্বাচিত এবং সঞ্চালক কর্তৃক পরীক্ষিত হওয়ার পর সেটি মূল টুইটারে বাংলা ভাষায় যুক্ত হবে। আগ্রহীরা (translate.twitter.com) ঠিকানায় গিয়ে বাংলা অনুবাদে যুক্ত হতে পারেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মাত্র ১৪০ শব্দের মধ্যে খুদে ব্লগ লেখার সুবিধা নিয়ে চালু হয় টুইটার। এরই মধ্যে গত বছরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত সদস্যের সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি, যাঁরা প্রতিদিন ৩৪ কোটি টুইট প্রকাশ করেন। প্রতি মাসে নিয়মিত টুইটার ব্যবহার করেন ২৪ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী। বর্তমানে ৪৪টি ভাষায় টুইটার ব্যবহার করা যায়, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাষা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বাংলা পূর্ণাঙ্গভাবেই চালু হয়েছে। যাঁরা অনুবাদে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন, এমন ব্যবহারকারীরা নামের পাশে পাবেন বিশেষ ‘ট্রান্সলেটর’ চিহ্ন দিয়ে দেওয়া টুইটার।

প্রতি জেলায় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণ

By

সরকারি উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে চলতি মে মাসজুড়ে ৬৪ জেলার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ছয় কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে সফটওয়্যার তৈরি, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), অনলাইন বিপণন, ব্যবসায় পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে৷ গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৬৪ জেলায় এ কর্মসূিচর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। এ জন্য ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে হবে।’ তিনি জানান, এই কর্মসূচিটি জেলা প্রশাসকেরা তদারক করবেন।
আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি জেলায় অন্তত দুজন করে ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠুক।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এ কর্মসূচির পরিচালক আবুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরাসহ অনেকে।
প্রথম পর্যায়ে প্রতি জেলায় ৩০ জন করে মোট এক হাজার ৯২০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর ছয় মাস মেয়ািদ অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শেষ ধাপে ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় গবেষণা মডিউল ও ই-কনটেন্ট তৈরি করতে সহয়তা করা হবে।


সুত্র  প্রথম আলো

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত-২

By
ফ্রিল্যান্সিং করে এদেশের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এ ক্ষেত্রটির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইল এর প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্ব পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলবর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। মার্কেটপ্লেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা যায়। প্রোফাইলে তৈরির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে
১. হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
২. স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রচুর স্কিল টেস্ট বিনা খরচেই দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হন না কেন কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে।
৩. পোর্টফোলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফোলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবেন যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আকর্ষণহীন একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।
কোন ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন?
কোনো একটা জব ওপেন করে জবের ডান পাশে দেখবেন বায়ারের তথ্য দেওয়া আছে। যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড নট ভেরিফাইড লেখা সেসব বায়ারের কাজের জন্য আবেদন করবেন না। পেমেন্ট মেথড ভেরিভাইড থাকলে তবে আবেদন করবেন।
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলক্লায়েন্টের কাছে কাজের জন্য আবেদন করাযখন কোনো কাজে/জবে আবেদন করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনোই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরূহ তো হবেই বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন। যেটা করা উচিত সেটা হলো প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি দিয়ে শুরু না করাই ভালো।
তারপর এক লাইনে আপনি তার কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন। তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন দক্ষতা তার প্রজেক্টে কাজে আসবে এবং কেন।র ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কী কী ধাপে করবেন।
আপনি কোন ফাইল এটাচ (যুক্ত) করে থাকলে উল্লেখ করুন। সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন।
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না। একটা হলো লেটারে নিজের ই-মেইল অথবা যোগাযোগের কোনো আইডি উল্লেখ করবেন না এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পেশাদার নাও ভাবতে পারে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক চাইবেন।
সাক্ষাত্কার
চাকরির বিজ্ঞাপন পড়ে আমরা কী করি? আমরা সেই বিজ্ঞাপন পড়ে ভালো লাগলে সেই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠাই।  আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো জব পোস্ট করা হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে বায়ার কয়েকজনকে সাক্ষাত্কারের জন্য বলেন।  তারপর একজন বা দুইজনকে নিয়োগ (হায়ার) দেয় মানে কাজটি করতে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে বিডিং বা বিড করে কাজ পাওয়া।  বায়ার আপনার কভার লেটার এবং প্রোফাইল দেখে পছন্দ করলে আপনাকে মেসেজ দিয়ে ইন্টারভিউ নেবে। আপনিও মেসেজ দিয়ে উত্তর দেবেন। আপনাকে ওই আউটসোর্সিং সাইটেই মেসেজ দেবে যে আপনি আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ওই সাইটেই মেসেজ দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপের মাধ্যমে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার কাজটি করতে দেবে মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার (Hire) করবে। জবটি অ্যাকটিভ হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract Job Name started. তারপর কাজ শুরু করবেন। 
একটি কাজের বর্ণনাকীভাবে কাজ করবেন?
আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে দুই ধরনের জব আছে। জব আছে দুই ধরনের। আওয়ারলি এবং ফিক্সড প্রাইস। আওয়ারলি জবগুলো আপনার ইচ্ছেমতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো দেখে আপনাকে পেমেন্ট দেবেন। আর আওয়ারলি জবের ক্ষেত্রে টাইম ট্র্যাকার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেবেন । এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পর ওপেন করে সাইন-ইন করে যে জবটি করতে চান সেটি নির্বাচন করে Start বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। ঘণ্টায় ৬টির মত। সময় গণনার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার ওই স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে Buyer Name ended your contract Job Name. তখন বায়ার আপনাকে একটি ফিডব্যাক দেবেন এবং আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। সর্বোচ্চ ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে মার্ক দেবেন এবং বায়ার আপনাকে তা দেবেন। কেউ কারোরটা আগে দেখতে পাবেন না। দুই জনে (কনট্রাক্টর এবং বায়ার) ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অন্য জনেরটা দেখতে পাবেন। কেউ একজন ফিডব্যাক না দিলে বা উভয়েই না দিলে ১৪ দিন পর একজন অন্যজনের ফিডব্যাক দেখতে পাবেন। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে আর ফিডব্যাক দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আপনি বায়ারের সাথে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে বায়ারের সম্পর্ক কেমন এবং বায়ার আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন।  ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পেতে সমস্যা হয়। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওই বাজে ফিডব্যাক মুছে ফেলতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেনডিং (Pending)-এ থেকে তারপর আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অর্থ তোলার পদ্ধতি
অনেক কাজ করেছেন। আপনার অ্যাকাউন্টে অনেক ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনবেন কীভাবে? অর্থ উত্তোলনের অনেকগুলো পেমেন্ট মেথড বা উপায় আছে। আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer)।
অয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি
অয়্যার ট্রান্সফার হলো অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা। এর জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড পদ্ধতি
অর্থ উত্তোলন করার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো Payoneer Debit Card। তবে এটি একটু ব্যয়বহুল।

সুত্র প্রথম আলো

দ্রুতগতি ইউএসবির নতুন নকশা

By


প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস বা ইউএসবিরও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সম্প্রতি রিভার্সেবল বা বিপরীতমুখী হয়েও কাজ করতে সক্ষম এমন নতুন ইউএসবি ইন্টারফেসের নকশা সম্পন্ন করেছেন গবেষকেরা। নতুন প্রজন্মের এই ইউএসবি প্রযুক্তির দেখা মিলবে শিগগিরই। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।গবেষকেরা বলছেন, টাইপ-সি নামে নতুন প্রজন্মের এই ইউএসবি কানেক্টর রিভার্সেবল বা বিপরীতমুখী হয়েও কাজ করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ প্লাগইন করার সময় ইউএসবি কানেক্টরের কোন দিকটি ওপরে বা ​নিচে থাকবে, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এতে ইউএসবি লাগানোর সময় পোর্ট হাতড়ানোর বিষয়টিও বন্ধ হবে। এর আকার হবে মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা চার্জ দিতে ব্যবহৃত মাইক্রোইউএসবি কানেক্টরের মতো।নতুন প্রজন্মের এই ইউএসবির উন্নয়নে কাজ করছে ইউএসবি ৩.১ প্রোমোটার গ্রুপ। এ গ্রুপটির সদস্য হচ্ছে হিউলেট প্যাকার্ড, ইনটেল, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান।
ইউএসবি ৩.১ প্রোমোটার গ্রুপের দাবি, নতুন প্রজন্মের এই ইউএসবি সেকেন্ডে ১০ গিগাবিট তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম হবে। বর্তমানে বাজারের ইউএসবি ৩.০ কেব্‌লের চেয়ে ইউএসবি ৩.১ হবে আরও উন্নত ও দ্রুতগতির। এর সঙ্গে ইউএসবি ২.০ মাইক্রো-ইউএসবির যথেষ্ট মিল থাকবে বলেও জানান তাঁরা।
গবেষকেরা বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তিপণ্য যথেষ্ট হালকা-পাতলা হচ্ছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন ধরনের ইউএসবি তৈরি করা হচ্ছে। ইউএসবি ২.০ ও ইউএসবি ৩.১ প্রযুক্তির ফিচারযুক্ত নতুন ইউএসবি বিভিন্ন ধরনের পণ্যে ব্যবহার করার সুবিধা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রমোটার গ্রুপ।
এদিকে, ইউএসবি উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কানেকটিভিটি বা সংযোগ মানদণ্ডের পরবর্তী প্রজন্মকে ৩.১ নাম দিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই এ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। প্রচলিত ইউএসবি ৩.০ যন্ত্রগুলোকে ৩.১-এ হালনাগাদ করার সুযোগ থাকছে না। এ ছাড়াও এখনকার যন্ত্রে ব্যবহৃত ইউএসবি পোর্টগুলোতে এই নতুন ইউএসবি কাজ করবে না।
বাস্তবতা হচ্ছে—নতুন ইউএসবি কানেক্টরের জন্য ইউএসবির মানদণ্ড কী হবে, সেটা ঠিক করা হলেও নতুন পণ্যে এই ইএসবি কানেক্টরের পোর্ট না আসা পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যাবে না। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট প্রথম এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষকেরা আশা করছেন, ২০১৫ সাল নাগাদ ইউএসবি ৩.১ সহজলভ্য হতে পারে ।

সুত্র প্রথম আলো

নারীদের জন্য আউটসোর্সিং কাজের প্রশিক্ষণ

By





তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিং কাজে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে ‘স্কিল এনহান্সমেন্ট’ কর্মসূচির আওতায় ‘নারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ’ দিচ্ছে ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ক্রিয়েটিভ আইটির কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে পাঁচ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে ঢাকা এখন বিশ্বের তৃতীয় সেরা স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের নারীরা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে দ্রুত আমরা প্রথম স্থানে চলে আসতে পারব।’
অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর তিন হাজার ফিল্যান্সার তৈরি করব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ এন এম শফিকুল ইসলাম, আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট (মার্কেটপ্লেস) ইল্যান্স-ওডেস্কের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান, নারী উদ্যোক্তা ইমরাজিনা ইসলাম খান এবং ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন।

সুত্র প্রথম আলো